স্মার্টফোন বলতে সাধারনত আমরা দৈনন্দিন জিবনে বর্তমানে মানুষের সব থেকে বেশি চাহির একটি ডিভাইস হলো স্মার্টফোন। বিস্তারিত আর কি বলবো সবাই জানেন। স্মার্টফোনের ভিতর তিন ধরনের বাজেটের ফোন মানুষ ব্যাবহার করে। ১- লো বাজেট, ২-মিড বাজেট,৩-ফ্লাগশিব। নিচে বর্তমানে এই মিড বাজেটের ৩ টি সেরা ফোন নিয়ে আলোচনা করবো চলুন শুরু করা যাক
৩টি সেরা ফোন
3. Vivo v20 pro

বর্তমানে মানুষের চাহিদার উপর ভিত্তি করে ক্যামেরা এবং প্রসেসর এর দিক বিবেচনা করে এই ফোনটি তৈরি করা হয়েছে। ফোনটিতে যে সকল সুবিধাসমুহ আছে উল্লেখ করা হলো।
ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি
ডিজাইনের দিক থেকে Vivo V সিরেজের এই ফোনটি খুবি চমৎকার ভাবে তৈরি করা হয়েছে। পলি কার্বনেটের গ্লসি ফিনিসিং দেওয়া হয়েছে। ফোনটির ওজন ১৭০g। 158.8 থেকে 74.2 into 7.4 mm রেশিও। ফোনটিতে দুটি সিম কার্ড ব্যাবহারের সুযোগ আছে।
নেটওয়ার্ক সিসটেম
ফোনটিতে 2g,3g,4g & 5g এর বিশেষ সুবিধা আছে।
ডিসপ্লে এবং রেজুলেশন –
Vivo v 20 pro ফোনটিতে সুপার এমোলেড টাসস্ক্রিন ব্যাবহার করা হয়েছে। এবং ৬.৪৪ ইন্চি (৮৫.০% স্ক্রিন টু বডি রেশিও)। রেজুলেশনের দিক থেকে দেখতে গেলে ১০৮০-২৪০০ পিক্সেল এর ২০:৯ রেশিও (৪০৯ পিপিআই ডেনসিটি) HDR10 সাপোর্টেড।
প্লাটফর্ম
ফোনটিতে এনড্রয়েড ১০ এর ফনটাচ ১১ ব্যাবহার করা হয়েছে।বর্তমানে ফোনটি আপডেটের পর এনড্রয়েড ১৩ সাপোর্ট করে। এবং সকল আপডেট কার্যকর থাকে।
ক্যামেরা ও ভিডিও কোয়ালিটি –
ফোনটিতে রেয়ার ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেল এর একটি মেইন সেন্সর এবং ৮ মেগাপক্সেল এর একটি ল্ট্রাওয়াইড সেন্সর এছাড়াও ডিপ ক্যামেরা হিসেবে আছে ২ মেগাপিক্সেল এর একটি টেলিফটো লেন্স। ক্যামেরার দিক দিয়ে বিবেচনা করলে অনেক ভালো কোয়ালিটির ছবি পাওয়া যায়। ভিডিও কোয়ালিটি বলতে গেলে 4k@30fps,1080@30fps/60fps,gyro-EIS এর মত অসাধারন সুবিধা। এছাড়াও ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে আছে ৪৪ মেগাপিক্সেল এর একটি লেন্স এবং ৮ মেগাপিক্সেল এর একটি আল্ট্রাওয়াইড সেন্সর। ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়েও 4k@30fps,1080@30fps/60fps,gyro-EIS ভিডিও সুট করা যাই।
প্রসেসর এবং স্টরেজ-
এই ফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে কয়ালকম স্নাপড্রাগন 765g (7nm)।প্রসেসর এর কথা বলতে গেলে এটি একটি শক্তিশালি প্রসেসর।এবং গেমিং প্রসেসর বলে বিবেচিত। এটি একটি অকটা কোর প্রসেসর এর জিপিইউ এড্রিনো ৬২০। স্টোরেজ বলতে গেলে ফোনটি একটি ভ্যারিয়েন্টেই লন্চ হয়েছে ৮ জিবি RAM এবং ১২৮ জিবি স্টোরেজ। ফোন মানুষের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ফিচার সমহু-
ফোনটিকে আনডার ডিসপ্লে ফিংগার প্রিন্ট সিসটেম এর বিশাল সুবিধা রয়েছে।
ব্যাটারি–
Vivo v20 pro ফোনটিতে ৪০০০ এম্পিয়ারের নন রিমোভেবল লিথিয়াম প্রো ব্যাবহার করা হয়েছে। যার ফলে অনেক সময় চার্জিং ব্যাকআপ পাওয়া যাই। এছাড়াও এই বিশাল ব্যাটারিকে চার্জের জন্য রয়েছে ৩৩ ওয়াটের বিশাল একটি সুপারফাস্ট চার্জার।
বাজার মূল্য-
বাজার মূল্যের দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় ফোনটি মিড বাজেটের মধ্য লন্স করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০০০ টাকা। এটি বাংলাদেশের যেকোনো Vivo এর সোরুমে পেয়ে যাবেন।
২. OPPO RENO7

Oppo reno7 ফোনটি সারা বিশ্বে খুবি জনপ্রিয় একটি ফোন। আমরা জানি যে oppo একটি নামি দামি ব্রান্ড। oppo এর সকল ফোন খুবই ভালো কোয়ালিটি ফুল হয়। নিচে oppo renon7 এর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ফোনটির বিল্ড কোয়ালিটি-
ফোনটির বিল্ড কোয়ালিটির দিক থেকে ফোনটি সেরা। প্লাসটিক কার্বনের ম্যাট ফিনিসের গ্লসি ফিনিসিং যা ফোনটির লুক খুবই সুন্দর করেছে।
বডি কোয়ালিটি-
ফোনটির সাইজ ৬.৪৩ ইন্চি। ওজন ১৭৩ গ্রাম এবং ফ্রন্ট গরিলা গ্লাসের প্রটেক আছে। ফোনটি দুটি কালারের, স্ট্যারি ব্লাক এবং স্টার্টরেইল ব্লু। কালার দুটির জব্য ফোনটিকে অসাধারণ সুন্দর দেখাই।
ডিসপ্লে-
ফোনটির ডিসপ্লে এর কথা বলতে গেলে এমোলেড ক্যাপসিটিভ টাসস্ক্রিন ১৬ m কালারের ৬.৪৩ ইন্চি এর একটি ডিসপ্লে ব্যাবহার করা হয়েছে। রেজুলেশন ১০৮০ ইনটু ২৪০০ পিক্সেল। এবং পিক্সেল ডেনসিটি ৪০৯ পিপিআই ডেনসিটি। এসপেক্ট রেশিও ২০ঃ৯। ৮৪.৯ স্কিন টু বডি রেশিও। ৯০ হার্জ রিফ্রেশরেট। HDR10+.
প্লাটফর্ম –
ফোনটিতে os এনড্রয়েড ১১ এর ব্যাবহার করা হয়েছে এবং কালার os ১২। ফোনটিতে আপডেট এর মাধ্যমে নতুন ভার্সন এড করা হয়ে থাকে।
প্রসেসর এবং স্টোরেজ-
ফোনটিকে প্রসেসর হিসাবে ব্যাবহার করা হয়ে মিডিয়াটেব MT6877 Dimensity 900 5g(6nm)। এটি একটি অক্টাকোর প্রসেসর।জিপিইউ Mali-G68 MC4-64bit.
ফোনটির RAM 8gb এবং ROM 256gb এবং এক্সট্রা মেমরি কার্ড ব্যাবহারের সুবিধা আছে। ফোনটিকে ব্যবহারিত প্রসেসর অনেক শক্তিশালি একটি প্রসেসর।
ক্যামেরা এবং ভিডিও কোয়ালিটি-
ফোনটিতে রেয়ার ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেল এর একটি মেইন সেন্সর এবং ৮ মেগাপক্সেল এর একটি ল্ট্রাওয়াইড সেন্সর এছাড়াও ডিপ ক্যামেরা হিসেবে আছে ২ মেগাপিক্সেল এর একটি টেলিফটো লেন্স। ক্যামেরার দিক দিয়ে বিবেচনা করলে অনেক ভালো কোয়ালিটির ছবি পাওয়া যায়। ভিডিও কোয়ালিটি বলতে গেলে 4k@30fps, 1080p@30/60/120fps,gyro-EIS কোয়ালিটিকে ভিডও করা যাবে।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসেবে আছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেন্সর। যেটিতে 1080p@30fps এ ভিডিও সুট করা যাবে।এছাড়াও রেজুলেশন এবং সেন্সর ৯০০ইনটু৭০০০ পিক্সেল। আনডার ডিসপ্লে ফিংগারট্রিন্ট সিসটেম। রয়েছে। যেটি অনেক ফাস্ট এবং কার্যকরি।
ব্যাটারি-
ফোনটিকে ৪৫০০ এম্পিয়ারেরর নন রিমভেবল লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যেটি অনেকক্ষন চার্জিং ব্যাকআপ দিবে। এই বিশাল ব্যাটারিকে চার্জের জন্য ৬৫ ওয়াটের বিশাল সুপার ফাস্ট চার্জ দেওয়া হয়েছে
বাজার মূল্য-
ফোনটির বাজেট মিড বাজেটের ভিতর রাখা হয়েছে। এবং মানূুষরে সক্ষমতার দিক বিবেচনা করে এই ফোনটির প্রাইজ রাখা হয়েছে ৩২০০০০ টাকা। মিড বাজেটের ফোনগুলোর মধ্য এটি একটি অন্যতম ফোন। ফোনটি ভাল লাগলে আমাদের সাথেই থাকুন।
1. Realme GT Master Edition

রিয়েলমি মাস্টার এডিশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচে পড়ুন..
আশ্চার্য্যকর বিষয় হলো রঙের উপর ভিত্তি করে এই ফোনের রং পরিবর্তন হয়। ফোন টির কালার ডিজাইন খুবই চমৎকার। ফোনটি নিয়ে আপনি ঠকবেন কিনা চিন্তা করছেন? এই বাজেটে রিয়েলমি মাসটার এডিশনে যে সকল ফিচার দিচ্ছে তা অভাবনিও।
ডিসপ্লে এবং ওজন-
ফোনটিতে ডিসপ্লে হিসেবে থাকছে Super amoled 120hz রিফ্রেশরেট এর একটি ডিসপ্লে
সাইজ ৬.৪৩ inches 99.8cm.(85.3% screen to body ration) রেজুলেশন ১০৮০-২৪০০ পিক্সেল ২০:৯ রেশিও ৪০৯ পিপিআই ডেনসিটি।
ওজন ১৭৪/১৮০ গ্রাম। ডুয়েল সিম সাপোর্ট।
প্লাটফর্ম –
এনড্রয়ড ১১ চলমান, আবডেট করা যাবে এনড্রয়েড ১৩ পর্যন্ত। Realme ui4.0
ক্যামেরা এবং ভিডিও কোয়ালিটি-
ফোনটিতে রেয়ার ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেল এর একটি মেইন সেন্সর এবং ৮ মেগাপক্সেল এর একটি ল্ট্রাওয়াইড সেন্সর এছাড়াও ডিপ ক্যামেরা হিসেবে আছে ২ মেগাপিক্সেল এর একটি টেলিফটো লেন্স।এছাড়াও আছে LED Flash এবং HDR Panoroma এর সুবিধা।ভিডিও কোয়ালিটি বলতে গেলে 4k@30fps, 1080p@30/60/120fps,gyro-EIS কোয়ালিটিকে ভিডও করা যাবে।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসেবে আছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেন্সর। যেটিতে 1080p@30fps এ ভিডিও সুট করা যাবে। এবং HDR panoroma মুড।
প্রসেসর এবং স্টোরেজ-
এই ফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালি স্নাপড্রাগন 778 5G (6nm) এটি এবটি OCTA core প্রসেসর। এটির কয়েকটা ভ্যারিয়েন্ট তার মথ্য ৮ জিবি RAM এবং ১২৮ জিবি প্রাইমারি স্টোরেজ।
সাউনড সিস্টেম-
লাউড সিপ্কার আছে এবং 3.5mm জ্যাক অর্থাৎ হেডফোন লাইন আছে।
ফিচার-
আনডার ডিসপ্লে অপটিকাল ফিংগার প্রিন্ট সিস্টেম রয়েছে।যেটি ফোনটিকে আরো আকর্শিত করেছে। ফোনের কালার ৪টি, ব্লাক, গ্রে, হওাইট, আরোরা ইত্যাদি।
ব্যাটারি এবং চার্জার –
ফোনটিকে নন রিমোভেবল লিথিয়াম প্রো এর ৪৩০০ অ্যাম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি ব্যাবহার করা হয়েছে। যা গেমিং এ ৬-৮ ঘন্টা চার্জ ধরে রাখে।এই বিশাল ব্যাটারিটিকে চার্জ করার জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে ৬৫ ওয়াটের একটি সুপার ডার্ট চার্জার যার মাধ্যমে মাত্র ৩৩ মিনিটে ১০০% চার্জ হবে।
বাজার মূল্য-
এই ফোনটির বর্তমান বাজারে অনেক চাহিদা থাকাই এর মূল্য ৩৪০০০ টাকা নির্ধারন করা হয়ে। মিড বাজেটের মধ্য এটি একটি অন্যতম সেরা ফোন।

সুতরাং তিনটি ফোন বিবেচনা করে দেখা যাই যে তিনটি ফোনই খুব ব্যবহার যগ্য।মিড বাজেটে এই ফোন গুলাই মার্কেট কাপাচ্ছে। এছাড়াও যদি আরো কোনো বিষয়ে বা নতুন কোনো ফোন এর সম্পর্কে জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করুন ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন : শাওমি নিয়ে আসলো Xiaomi Redmi 12। মিড রেঞ্জে, সাথে আছে ২০০ মেগা পিক্সেল এর ক্যামেরা।