দ্বিগুন শক্তিশালী ইঞ্জিন নিয়ে Hunter 350 বাইকের কাছে পাত্তা পাচ্ছে না বুলেট!

মোটর সাইকেল হলো বর্তমানে মানুষের অতি প্রয়োজনের একটি বাহন।আবার কারো শখের জিনিস। কত শত মোটর সাইকেলের মধ্য মানুষ তার পছন্দের মোটরসাইকেলটাই কেনে। ঠিক এই সময় রয়েল ইনফিল্ড এর নতুন মডেলের  Hunter 350 মোটরসাইকেলটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মোটরসাইকেলটি ভারতে লঞ্চ হয়েছে ১বছরে হয়নি তবুও মানুষের নজর কেড়ে মানুষের একটা চাহিদায় পরিনত হয়েছে। রয়েলের যেকোনো মোটরসাইকেল লঞ্চ হলেই মানুষ সেটিকে পছন্দ করে ফেলে। 

আমরা জানি যে ভারতবর্ষে কোনো মোটরসাইকেল জনপ্রিয়তা পাওয়ার মূল কারণ হলো মোটরসাইকেলটিরর দাম। ঠিক এ কথাটি মাথায় রেখেই কম্পানিটি মানুষের চাহিদার উপর ভিত্তি করে গাড়িটি সস্তা করেছে। বর্তমানে ফ্লাগশিপ মোটরসাইকেলের দামের মধ্য এই রয়েল ইনফিল্ড Hunter 350 মোটরসাইকেলটি সস্তা। এতো কম দামে আপনি এই লেভেলের কোনো মোটরসাইকেল কোনো কম্পানি প্রভাইড করবেনা। 

দ্বিগুন শক্তিশালী ইঞ্জিন দিয়ে Hunter350 নতুন বাইক লঞ্চের প্রস্তুতি সারছে Royal Enfield

ফিচার্স এবং লুকের দিক থেকে বলতে গেলে অন্যান্য মোটরসাইকেল যেমন মিটিওর, ক্লাসিক,  ইন্টারসেপ্টার এর থেকেও দাম কম হলেও ডিজাইনের দিক থেকে কোনো কমতি রাখিনি কম্পানিটি।

এখন আপনি যদি ভেবে থাকেন এই বাইকটি কিনবেন তাহলে চলুন দেখি ইন্ডিয়ার কোন কোন শহরে কেমন দাম।

আরও পড়ুন : ধোঁয়া না উড়িয়ে একটানা 150 কিমি নিঃশব্দে ছুটে চলে, পুলিশ বাহিনীতে যুক্ত হল RV 400 ই-বাইক

বড় বড় পাচঁটি শহরের দাম

১.কলকাতা শহরে মোটরসাইকেলটিরর দাম ২ লক্ষ টাকা।

২.মুম্বাইয়ে মোটর সাইকেলটির মূল্য ২ লক্ষ ১২ হাজার টাকা।

৩.দিল্লি শহরে মোটোরসাইকেলটির দাম ২ লক্ষ টাকা মাত্র।

৪.চেন্নায় শহরে মোটোরসাইকেলটির মূল্য ১লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা।

৫.বেজ্ঞালুরুতে এই মোটোরসাইকেলটির মূল্য তুলনা মূলক ভাবে একটু বেশি ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।

Royal Enfield Hunter 350 এর এক্স শোরুম দাম ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়েছে। এবং এটির ৩ ভ্যারিয়েন্ট বাজারো পাওয়া যাবে। 

ইঞ্জিন

এই মোটোরসাইকেলটি ৩৪৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন দ্বারা তৈরি এবং মোটরসাইকেলটি ২০.২ ব্রেক হর্স পাওয়ার দ্বারা তৈরি। মোটরসাইকেলটি ৫ গিয়ার বিশিষ্ট এবং সর্বোচ্চ গতি ১১৪ কিলোমিটার। এছাড়াও এটার মাইলেজ ৩৬ কিলোমিটার প্রতি লিটার।  

ক্যাপাসিটি

রয়েল এনফিল্ড এর ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১৩ লিটার এবং রিজার্ভ ২.৬ লিটার পর্যন্ত।

ফিচার 

দ্বিগুন শক্তিশালী ইঞ্জিন দিয়ে Hunter350 নতুন বাইক লঞ্চের প্রস্তুতি সারছে Royal Enfield

১.ব্রেকিং-পিছনের চাকায় থাকবে ড্রাম ব্রেক সঙ্গে সিংগেল চ্যানেল এ্যান্টি লক সিস্টেম বা এবিএস এবং সামনের চাকাই ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম।

২.মিটার-রয়েল এনফিল্ড হানটার ৩৫০ এর মিটার ডিজিটাল অর্থাৎ ওডোমিটার ও টেকোমিটার দুটোই ডিজিটাল। আবার স্পিডোমিটার এর কথা বলতে গেলে সেটি থাকছে এনালগ সিস্টেমের। আরও থাকছে ব্লুতুথ এবং এর মতো সুবিধা কিন্তু জিপিএস কানেক্ট করতে হলে মোবাইলে RE এ্যাপ টি ডাউনলোড করতে হবে।

৩.হেডলাইট-Royal enfield hunter 350 মোটরসাইকেলটিতে হেডলাইট, সিগনাল লাইট এবং ব্যাক লাইটে থাকছে হ্যালোজেন। বাইকটির উচ্চতা ৮০০ মিলিমিটার এছাড়াও চেচিচ হিসাবে থাকছে  ডাউনটিউব এবং বাইকটির ওজন ১৭৭ কেজি। 

আরও পড়ুন : ইলেকট্রিক বিল নিয়ে চিন্তিত? ঘরে আনুন এই AC,খরচ হবে অর্ধেক

এবার চলুন Hunter 350 মোটরসাইকেলটির পরিচিতি নিয়ে কিছু কথা বলি।

আজ পর্যন্ত যত বাইত রয়েল এনফিল্ড লঞ্চ করেছে তাদের সব বাইকের মধ্য Hunter 350 বাইকটির ডিজাইন একটু ভিন্ন। বাইকটিকে আকর্ষনিয় ডিজাইন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যেটা সবার নজর কাড়বেই। বাইকের হ্যালোজেনের সিস্টেম টা বাইককে আরো সুন্দর করে তুলেছে। খুবি সিম্পল ভাবে টুইনপ পড ইন্সট্রুমেন্ট করা হয়েছে এবং সাথে একটি ট্রিপার ন্যাভিগেশন সিস্টেমও দেওয়া হয়েছে। 

ব্রেকিং এর জন্য Hunter 350 এর পিছনে আছে ২৭০ এমএম ডিস্ক এবং সমানে আছে ৩০০ এমএম ডিস্ক। এই মোটরসাইকেলটিতে রয়েছে ৪১ এমএম এর সাসপেনশন ডিউটি, টেলিস্কোপ ফর্ক এবং ফর্ক গেইটার।

দ্বিগুন শক্তিশালী ইঞ্জিন দিয়ে Hunter350 নতুন বাইক লঞ্চের প্রস্তুতি সারছে Royal Enfield

এই বাইকটি ব্রেকের সুবিধার্থে সিংগেল চ্যানেল এবং ডাবল চ্যানেলের এবিএস।যার ফলে কোনো দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা খুবি কম থাকে। 

আপনারা জানেন রয়েল এনফিল্ড মানেই সৌন্দর্য থাকবেনা তা হয় নাকি? তার ইঞ্জিন গার্ডে আছে বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য, ইন্ডিকেটরে আছে উন্নত মানের LED লাইট। সুতরাং এই মোটরসাইকেলটির সৌন্দর্য বলে শেষ করবার উপায় নেই। 

এবার চলুন রয়েল এনফিল্ডকে একই দামের  আরেকটি মোটরসাইকেলের সাথে তুলনা করি।

FZ version 2 VS Royal Enfield Hunter 350

ইতিমধ্য আমরা রয়েল এনফিল্ডের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি এখন এফ জেড ভার্সন ২ এর সম্পর্কে একটু জানব।বাইকটি সাধারনত ১৫০ সিসি এর হয়ে থাকে কিন্তু রয়েল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০ মোটরসাইকেলটি ৩৪৯ সিসি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে  ।দেখতে মোটামুটি ভালো হলেও রয়েল এনফিল্ডের ডিজাইনের কাছে হার মানবে।  ওজনের দিক দিয়ে দেখা যায় এফজেড ভার্সন ২ এর ওজন ১৩৩ কেজি এবং হান্টার ৩৫০ এর ওজন ১৭৭ কেজি। ব্রেক সিস্টেম দিক থেকেও হান্টার ৩৫০ এগিয়ে। কমফোর্টেবল এর দিক দিয়ে দেখতে গেলে এফজেড ভার্সন ২ এগিয়ে থাকবে।

অতএব যারা বাইক লাভার তারা যদি বাইক কিনতে চান তাহলে বাজেটের মধ্য সেরা বাইক হবে এই রয়েল ইনফিল্ড। এটির বর্তমান মার্কেটে অনেক চাহিদা।  আর আপনারা জানেন যে আগাগোড়াই রয়েলে এনফিল্ডের যে কোনো মডেলেরই লুক অনেক সুন্দর হয় এবং মানুষের চাহিদা অনেক বেশি হয়। এই বাইকটি কমবেশি সবাইকে মানিয়ে থাকে।

শেষ কথা বলতে গেলে আপনারা যারা এই পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়োছেন তাদের যদি এই পোস্ট টি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করতে পারেন এবং যারা যারা এই মোটরসাইকেলটি কিনতে চান তারাও জানাতে পারেন। পাশে থাকবেন আগামি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন : অ্যান্ড্রয়েডের দিন শেষ এবার নতুন সব এডভান্স ফিচার নিয়ে আসছে iOS 17

আমি মাহদি হাসান সরকার, একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং টেকনোলজি এক্সপার্ট. ৭ বছর থেকে বিভিন্ন কম্পানির সাথে একজন প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করে আসছি . এ জন্য টেকনোলজি নিয়ে আমার অনেকটা ধারনা আছে. ভাবলাম আমি যতো টুকু পারি ততো তুকিই যদি আপনাদের সিখাই তাহলে বর্তোমান পৃথীবিতে আপনাদের চলতে অনেকটা সহজ হয়ে জাবে।

Leave a Comment