ঘনবসতির এবং যানযটের এই শহরে নিজস্ব একটি Private car খুবি প্রয়োজন। একটি গাড়ি কারো কাছে প্রশান্তি আবার কারো কাছে স্বাছন্দের চাবিকাঠি কিন্তুু বুক ভরা স্বপ্ন এবং সামর্থের বেড়া জালে মানুষ আটকে যায়। কিন্তু বর্তমানে অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয় Private car কেনার ক্ষেত্রে। এমনকি কিস্তিতেও গাড়ি কেনা যায়। আপনার কাছে ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা থাকে তাহলে আপনি চাইলেই অনেক ভালো মানের একটি গাড়ি কিনতে পারবেন চলুন আজকে আলোচনা করবো অল্প দামের ভিতর সেরা তিনটি গাড়ি নিয়ে।
১. Hyundai Accent

এই Private car আপনি চাইলেই ইট পাথরের মত দূর্গম রাস্তা দিয়ে চালতে খুব আরামে চালাতে পারবেন।এই গাড়িটি ১৫.৫ কিলোমমিটার মাইলেজ প্রতি লিটারে অর্থাৎ সাশ্রয়ির ক্ষেত্রে এই গাড়ির তুলনাই অন্য কনো গাড়িতে এতো সুবিধা নেই। মুল্যের দিক থেকে গাড়িটি হাতের নাগালেই পাবেন এছাড়া ডিজাইনের দিক থেকে গাড়ি অনেক সুন্দর। গাড়ির টির সবগুলো ভ্যারিয়েন্ট একটি CVT ছাড়াও রয়েছে ৪টা ১২০ হর্জপাওয়ার বিশিষ্ঠ সিলিন্ডার ইঞ্জিন।
গাড়িটির মূল্য : এই গাড়িটির মূল্য রাখা হয়েছে ২৭ লক্ষ টাকা থেকে ২৯ লক্ষ টাকার ভিতরে।
ইঞ্জিন: ৪ টি সিলিন্ডার DOHC ইঞ্জিন। গাড়িটি মূলত ১৩৬৮ সিসির।
ব্রেক: ভ্যান্টিলেটেড ডিস্ক সামনে এবং ড্রাম পিছনে।
সাসপেনশন: সামনে ম্যাকফারসন স্ট্রাট এবং পিছনে কাপলড টরসন বিম এক্সেল।ট্রান্সমিশন স্বয়ংক্রিয় গতি ৬।
ফিচার
পুশ বোতাম স্মার্ট, ইলেক্ট্রনাক্স স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রল এবং রিওস্ট্যাড। হিল স্টার্ট অ্যাসিস্ট স্ট্যাটিক বেন্ডিং লাইট এছাড়াও রয়েছে সিট ফোল্ডিং সুবিধা।
আরও পড়ুন : ধোঁয়া না উড়িয়ে একটানা 150 কিমি নিঃশব্দে ছুটে চলে, পুলিশ বাহিনীতে যুক্ত হল RV 400 ই-বাইক
২. Suzuki Swift

সুজুকি সুইফট কে কিছু বছর আগে সস্তা এবং অপছন্দনীয় Private car ভাবলেও সুজুকি সুইফট তাদের রতুন মডেল লঞ্চ করে, বর্তমানে এই গাড়িটি অনেক প্রসিদ্ধ পেয়েছে। এই গাড়িটি বেসি পরিচিতি পাওয়ার পিছনে মূল হলো গাড়িটির আকার। এই গাড়িটি ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে দেখা যায় এগুলো অলি গলি দিয়ে খুব স্বাচ্ছন্দ্য ভাবে চলাচল করতে পারে। এই গাড়িটির ওজন ৯০০ কেজি যেটি একটি লোটাস অ্যালিসের সমান। এই গাড়িটি ১ লিটারে প্রায় ১২ কিলো মিটার চলে। এজন্য এই গাড়িটি দেশে পরিচিতি পেয়েছে।
এই গাড়িটির মুল্য নির্ধারন করা হয়েছে ১৫০০০০০ থেকে ১৯০০০০০ টাকা।এই গাড়ির ইন্জিন হলো অ্যাডভান্সড কে-সিরিজ ডুয়াল জেট,স্টার্ট-স্টপ ফাংশন সম্বলিত ডিভিটি ইন্জিন।
গাড়িটির ইন্জিন ১ হাজার ১৯৭ সিসির। গাড়িটির ব্রেকিংএ আছে সামনের চাকায় ডিস্ক এবং পেছনের চাকায় ব্রেকে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
গাড়িটিতে সাসপেনশন হিসাবে আছে সামনের চাকায় কয়েল স্প্রিং ম্যাকফারসন স্ট্রাট। এবং পিছনের চাকায় রয়েছে টরসন বিম। গাড়িটির ট্রান্সমিশনে আছে স্বয়ংক্রিয় এজিএস-৫।
অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছ ১৭.৭৮ টার্চস্ক্রিন স্মার্ট প্লে স্টুডিও। অটো গিয়ার শিফটের মতো সুবিধা।
৩. Honda City

হোন্ডা কোম্পানির অন্য সকল গাড়ির তুলনায় এই বছরে হোন্ডা সিটি বেশ নাম কামিয়েছে যেটা মুলত তার ডিজাইনের জন্য। হোন্ডা কোম্পানির অন্য দুইটি গাড়ি হোন্ডা সিভিক আর হোন্ডা অ্যাকর্ডের মতো ডিজাইনের হোন্ডার পঞ্চম প্রজন্মের Private car এই হোন্ডা সিটি। এই গাড়ির কেবিন স্পেস এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনে বিশেষ নজর দিয়েছে হোন্ডা। যার কারনে গাড়িটিকে অনেকে ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড কার বলে থাকেন।
এই গাড়িটির দাম নির্ধারন করা হয়েছে ৩১০০০০০-৩৪০০০০০ টাকা।
গাড়িটিতে আছে ১.৫ লিটার ইন লাইন ৪ সিলিন্ডার ১৬ ভালভ,ডিওএইচসি আই ভিটিইসি ইন্জিন। এই ইন্জিন ১ হাজার ৪৯৮ সিসির। ব্রেকিং সিস্টেমে আছে সামনে ভেন্টিলেটেড ডিস্ক এবং পেছনে রয়েছে ড্রাম।
গাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ট্যাবিলাইজার বার সম্বলিত ম্যাকফারসন স্ট্রাট এবং টরসন বিম সাসপেনশন
অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে সিট ফোল্ডিং ৬০:৪০,হিল স্টার্ট এ্যাসিস্ট,প্যাডেল শিফ্টার,ক্রুজ কন্ট্রোল,ব্লাইন্ড ভিউ মনিটর সিস্টেম। এক কথায় বাজেট কিং বলা চলে।
আরও পড়ুন : দ্বিগুন শক্তিশালী ইঞ্জিন নিয়ে Hunter 350 বাইকের কাছে পাত্তা পাচ্ছে না বুলেট!
৪. Toyota Yaris

গাড়ি নামটা শুনলে আসলে টয়োটার নাম মাথায় আসবে না এটা আবার হয় নাকি! বরাবরে মতো এ বছরে টয়োটা নিয়ে আসলো টয়োটা ইয়ারিস। টয়োটার সাবকম্প্যাক্ট Private car গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো টয়োটা ইয়ারিস। যদিও গাড়িটা কিছটা ধীরগতির। গাড়িটি সাধারনত হাইওয়েতে ১৭ এবং সাধরণ রাস্তায় ১৪ কিলো মিটার মাইলেজে বেশ জ্বালানি সাশ্রয় করে চলে।
গাড়িটির মুল্য ধার্য করা হয়েছে ৩২০০০০০-৩৪০০০০০ টাকা৷
গাড়িটিতে রয়েছে ২ এনআর-এফই ৪ সিলিন্ডার ইনলাইন ডুয়াল ভিভিটি আই সহ ১৬ ভালভ ডিওএইচসি ইন্জিন। গাড়িটির ইন্জিন ১ হাজার ৪৯৬ সিসি এর। ব্রেকিং এ থাকছে সামনে ভেন্টিলটেড ডিস্ক এবং পেছনে থাকছে ড্রাম। গাড়িটির সাসপেনশনে থাকবে ম্যাকফরসন স্টাট এবং টরসন বিম।
অন্যান্য সুবিধার ভেতর থাকছে সিট ফোল্ডিং, মাল্টিফাংশন ডিসপ্লে সহ অপ্টট্রন মিটার, স্মার্ট এন্ট্রি ও স্টার্ট ABD.
৫. DFSK Glory 580 I-Auto

চীনের অন্যতম একটি অটোমোবাইল কোম্পানি হলো ডিএসএফকে। যার সাথে বেশ কিছু কোম্পানি যুক্ত রয়েছে।যেমন: ফ্রেঞ্চ রেনল্ট ও পিউজোট, কোরিয়ান কিয়া, জাপানিজ হোন্ডা ও নিসান, জার্মান বশ,ইতালিয়ান ফিয়াট এবং ব্রিটিশ ডেলফির মতো বড় বড় কোম্পানি। এই সকল স্বনামধন্য কোম্পানির নানা পার্টস ব্যবহার করে গ্লোরি ৫৮০ আই অটো তৈরি করা হয়েছে।
অতি কম খরচে হাতের নাগালেই পাবেন এই ৭ সিটার ক্রসওভার গাড়িটি। গাড়িটির মুল্য হলো ৩১০০০০০-৩৫০০০০০ টাকা। গাড়িটির ডিজাইন যেমন চমৎকার তেমনি রয়েছে ২০০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, স্টিফ সাসপেনশন ফাইভ স্টার এনসিএপি, ক্র্যাশ সেফটি রেটিং।
গাড়িটিতে লাগানো হয়েছে ১.৫ লিটার টার্বোচার্জড ফিয়াট। এবং এর ইন্জিন ১হজার ৪৯৮ সিসি এর। এই গাড়িটির সামনে এবং পেছনে উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। ম্যকফারসন স্ট্যবিলাইজার সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে সামনে এবং পেছনে স্টেবিলাইজার সহ টরসিয়াল বিম।
অন্যান্য ফিচারের মধ্যে আছে ইলেকট্রিক পাওয়ার ব্যাকডোর, ক্র্যাশ অটো, ক্রুজ কন্ট্রোল, সিট ফোল্ডিং এর মতো ব্যাবস্থা।
আরও পড়ুন : নতুন Karizma থেকে Xoom 125, বাজারে ঝড় তুলতে শীঘ্র্রয় আসছে Hero এর এই 5 বাইক স্কুটার